সিভিল টেকনোলজি হল প্রকৌশলের একটি শাখা যা ভবন, সেতু, রাস্তা, বাঁধ এবং জল সরবরাহ ব্যবস্থার মতো অবকাঠামো প্রকল্পগুলির নকশা, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। সিভিল টেকনোলজি প্রোগ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা সাধারণত তাত্ত্বিক কোর্সওয়ার্ক এবং ব্যবহারিক হ্যান্ডস-অন প্রশিক্ষণের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে যায়।
সিভিল টেকনোলজি বিভাগটি হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এই বিভাগটি এসএসসি পাশ করার পর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (বিটিইবি) অধীনে ৪ বছরের ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম অফার করে।
ডিপার্টমেন্টে বর্তমানে ১ জন প্রধান প্রশিক্ষক, ৩ জন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (পার্টটাইম), ৮ জন ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর এবং ১ জন সাপোর্ট স্টাফ এবং ২৯০* সংখ্যক ছাত্র রয়েছে ।
এই টেকনোলজির ৭টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলি হল- (১. হাইড্রোলিক ল্যাব ২. ম্যাটেরিয়াল টেস্টিং ল্যাব, ৩. কনস্ট্রাকশন শপ, ৪.উড শপ, ৫. সার্ভে ল্যাব, ৬. বেসিক ওয়ার্কশপ, ৭. জিওটেকনিক ল্যাব)
প্রতি বছর ১০০ জন ছাত্র ছাত্রী, (প্রথম শিফট এর জন্য ৫০ এবং দ্বিতীয় শিফটের জন্য ৫০ জন) ছাত্র ছাত্রী এই বিভাগে ভর্তি হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, ছাত্রীদের জন্য ২০%, কারিগরির শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫% এবং প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫% আসন সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে উপজাতীয়দের জন্য ২টি এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতনিদের জন্য ২টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম শেষ করার পরে, শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে বা উচ্চ শিক্ষায় যেতে পারে। উচ্চশিক্ষার জন্য তারা ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ভর্তি হতে পারেন বা অন্য কোনো বেসরকারি বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রযুক্তিতে স্নাতক করতে পারেন।
একজন ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ার সিভিল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন।
একজন সিভিল ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটের প্রধান চাকরির ক্ষেত্র হল সড়ক ও মহাসড়ক, গণপূর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি। শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ, সকল সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সার্ভে, জনস্বাস্থ্য, ওয়াসা, বিপিডিবি, রাজউক এবং অন্যান্য বিভাগ।