হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২০০৫ সালে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিভাগটি এসএসসি পাশ করার পর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (বিটিইবি) অধীনে ৪ বছরের ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম অফার করে। বিভাগে বর্তমানে ২ জন চীফ ইন্সট্রাক্টর, ৩ জন ইন্সট্রাক্টর (স্থায়ী এবংঅস্থায়ী), ৩ জন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (খন্ড কালীন), ৫ জন ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর এবং ১ জন সাপোর্ট স্টাফ এবং ৫৭০* সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী রয়েছে ।
এই বিভাগে ৪টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলি হল-
১. সফটওয়্যার ল্যাব-০১।
২. সফটওয়্যার ল্যাব-০২।
৩. হার্ডওয়্যার ল্যাব।
৪. নেটওয়ার্ক ল্যাব।
প্রতি বছর ২০০ জন ছাত্র ছাত্রী, (প্রথম শিফট এর জন্য ১০০ এবং দ্বিতীয় শিফটের জন্য ১০০ জন) ছাত্র ছাত্রী এই বিভাগে ভর্তি হয়। . কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, ছাত্রীদের জন্য ২০%, কারিগরির শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫% এবং প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫% আসন সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে উপজাতীয়দের জন্য ২টি এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতনিদের জন্য ২টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম শেষ করার পরে, শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজার বা উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে পারে। উচ্চ শিক্ষার জন্য তারা ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর, দেশে বা বিদেশের অন্য কোনো বেসরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি প্রোগ্রাম যেমন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক বা কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক বা তথ্য প্রযুক্তিতে স্নাতক ভর্তি হতে পারে।
একজন ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ার কম্পিউটার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন।
একজন কম্পিউটার ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটের প্রধান চাকরির ক্ষেত্র হল কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কোম্পানি, টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি, TVET প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, BPO ইন্ডাস্ট্রি, আইটি সেক্টরের সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইটি অফিসার বা নেটওয়ার্ক সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।